ডিজিটাল কনটেন্ট বর্তমানে বাংলাদেশের স্কুল পর্যায়ে একটি পরিচিত শব্দ। প্রাথমিক স্তরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও মাধ্যমিক স্তরে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ গুলোর মাধ্যমে স্কুল শিক্ষকদের ১৪ দিনব্যাপি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয় একটি সুষ্ঠ পাঠ পরিকল্পনার আলোকে।
পাঠ পরিকল্পনা কী তা স্কুল পর্যায়ের প্রায় সকল শিক্ষকই জানেন। মাইক্রোসফট অফিসের পাওয়ার পয়েণ্ট ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়। পাঠ পরিকল্পনার বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এক্টিভিটিগুলো ধারাবাহিকভাবে যেমন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়,ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতেও বিভিন্ন স্লাইডে একই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়।
ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করার জন্য যেমন কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন পেডাগজির সমন্বয়। পেডাগজির সমন্বয় সাধন ব্যতীত মানসম্মত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি সম্ভব নয়।
পেডাগজি হল শিখন-শেখানো কলাকৌশল যা ছাড়া শিখন প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা যায় না। শিখন প্রক্রিয়া হয় বাধাগ্রস্থ। সাধারণত একটি ডিজিটাল কনটেন্টের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম স্লাইডটি তৈরি করা হয়। শুভেচ্ছা জ্ঞাপক প্রথম স্লাইডটিতে একটি ছবি সংযোজন করা যায়। শুভেচ্ছা প্রকাশে ফুল বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি ছাড়াও পাঠ সংশ্লিষ্ট ছবি ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন ছবি ব্যবহার করা ভালো যা শিক্ষার্থীদের মাঝে কৌতুহলের জন্ম দেবে, চিন্তার সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রথম স্লাইডের ছবি থেকে আজকের পাঠ কী হতে যাচ্ছে তা সরাসরি বুঝতে পারলে বা আন্দাজ করতে পারলে ভাল (*০১)
(*০২)
ডিজিটাল কন্টেন্ট পর্ব-০২ (পাওয়ার পয়েন্ট এ ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির ধাপসমূহ কী কী)
ডিজিটাল কন্টেন্ট পর্ব-০৩ (ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির ধাপসমূহ কী কী)
রেফারেন্সঃ
০১। মো সাজ্জাদ হোসেন, প্রভাষক, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, খুলনা, দৈনিক ইত্তেফাক ১০ আগাস্ট ২০১৫ (লিংক)
০২। আইসিটি হোমস টেক, মে ১৪, ২০২০ (লিংক)